ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে চেলসি। আর টুর্নামেন্টে সবাইকে ভুল প্রমাণ করে উচ্ছ্বসিত দলটির তরুণ তারকা কোল পালমার।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে রবিবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চেলসি। ম্যাচের নায়ক ছিলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার পালমার, যিনি আট মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে একাই গড়ে দেন ম্যাচের মোড়।
২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা আর প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ঠাণ্ডা মাথায় খেলেন ২৩ বছর বয়সী পালমার। চেলসির তৃতীয় গোলেও ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা — দারুণ অ্যাসিস্টে গোল করান জোয়াও পেদ্রোকে।
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি পুরো টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি, গোল্ডেন বল জিতেছেন পালমার। আসরে ৬ ম্যাচে ৩ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট ছিল তার নামের পাশে।
বড় ম্যাচে নিজেকে আবারও প্রমাণ করতে পারার আনন্দ গোপন করেননি পালমার। ডিএজেডএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি ফাইনাল পছন্দ করি। আরও একবার বড় ম্যাচে ভালো করতে পেরে দারুণ লাগছে।’তিনি যোগ করেন, ‘এই জয়টা বিশেষ। কারণ, আমাদের নিয়ে তেমন কেউ আশাবাদী ছিল না। কিন্তু আমরা জানতাম আমরা কী করতে পারি। মাঠে যেভাবে লড়েছি, সেটা অসাধারণ ছিল।’ চেলসি কোচ এন্টসো মারেস্কাও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পালমারকে। তবে একক নয়, জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন পুরো দলকে।
এর আগে গত মে মাসে কনফারেন্স লিগের ফাইনালেও চমক দেখিয়েছিলেন পালমার। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে দুটি অ্যাসিস্ট করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। এবার আরেকটি ফাইনালে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে তিনি যেন নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন।
এদিকে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে সমানে সমানে লড়াই হলেও শেষ হাসি হেসেছেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ফরোয়ার্ড গনসালো গার্সিয়া। ২১ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার টুর্নামেন্টে করেছেন সর্বোচ্চ ৪ গোল। তবে গোল সংখ্যা সমান থাকলেও বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছেন অ্যাসিস্টের সুবাদে।
বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসি এবং আল হিলালের মার্কোস লিওনার্দো—এই তিনজনেরও গোল সংখ্যা ছিল চার। কিন্তু গার্সিয়া একটিতে সহায়তা করায় গোল্ডেন বুট উঠেছে তার হাতেই।
টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিবেচনায় আরও দুটি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গোলকিপারদের মধ্যে সেরা হয়ে গোল্ডেন গ্লোভ জিতেছেন চেলসির রবার্ট সানচেজ। আর সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন পিএসজির প্রতিভাবান তরুণ দেজিরে দুয়ে।
খুলনা গেজেট/এসএস